উখিয়ার হলদিয়া পালংয়ে ভাসুর, দেবর ও শ্বাশুড়ি সহ কয়েক জন মিলে প্রবাসীর স্ত্রী তাহামিনা আক্তার (২১) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আর হত্যা ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ পরিবারের ।
গত রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দেবর, ভাসুর ও শ্বশুর শাশুড়ি পলাতক রয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী পুলিশকে অবহিত করেন পরবর্তীতে পুলিশ ও চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
জানা যায়, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রশিদের কন্যা তাহমিনা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের মাতব্বরপাড়ার ( তৈলী পাড়া) হাজী আলী আহমাদের পুত্র সৌদি প্রবাসী মনজুর আলমের সাথে বিবাহ হয় । তাদের দুই সংসারে পুত্র সন্তান রয়েছে ।
স্ত্রী নিহতের খবর শুনে স্বামী মঞ্জুর আলম সৌদি আরব থেকে গতকাল বিকেলে নিজ গ্রামে পৌঁছে নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাযার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্ত্রী তাহমিনা হত্যাকান্ডে যারাই জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহতের ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, ভগ্নিপতি মঞ্জুর সৌদি আরবে থাকার সুযোগে পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। ভাসুর হাসান, দেবর রবি, জসিম ও ছগির এবং শশুড়, শাশুড়ি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মামাতো ভাই জহির চৌধুরী জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনা আঁচ করতে পেরে তাহমিদা তার বড় ভাই সাদ্দাম হোসেনকে প্রথমে ফোন করেন। মোবাইল রিসিভ না হওয়ায় ভয়েস মেসেঞ্জারে একটি ক্ষুদে বার্তা দেন। সেখানে লেখেন আমাকে হত্যা করতে পারে। দ্রুত এসে শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে নিয়ে যান। ভয়েস মেসেজ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত